বিলাসবহুল লঞ্চগুলো ঘুরাতে সমস্যা হওয়ায় সদরঘাটের ওপারের ডকইয়ার্ডগুলো স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী ডকইয়ার্ড উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তরের খসড়া প্রতিবেদন সম্পর্কিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের ওপারে ডকইয়ার্ড থাকায় বিলাসবহুল লঞ্চগুলো ঘুরাতে এবং বার্থিংয়ে সমস্যা হয়; যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো স্থানান্তরে সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচনের পর নদী ও পরিবেশ রক্ষায় আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। তখন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ছিল না। সেখানে নদী নিরাপদ থাকে কী করে?
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে নদীর নাব্য ধরে রাখার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার, স্পেশাল ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে, বিশাল অর্থের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপদ নৌযান সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মানসম্পন্ন জায়গায় যাচ্ছে। দেশ সব সূচকে এগিয়ে যাবে। নৌপথ, শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ডগুলো পরিবেশসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। তার নেতৃত্বে কাজ করছি বলেই জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে নদী ও পরিবেশ নিয়ে কথা বলে। নদী ও পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ও কাজ করার ‘ফাউন্ডার’ হলেন শেখ হাসিনা।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।