গ্রিসে অবস্থানকালে একটি চক্রের হাতে অপহরণের শিকার হন আবু ইউসুফ (২৬)। তাকে ৭-৮ দিন আটক রেখে বাংলাদেশে তার বড় ভাই ও মায়ের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন চক্রের সদস্যরা। পরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয় ইউসুফের পরিবার।
প্রবাসী ওই বাংলাদেশিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচারকারী চক্রের মূলহোতা সাইফুর আকন ওরফে নাসিরকে (৩৭) গ্রেফতারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (২ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইউসুফের অপহরণকারীরা সবাই বাংলাদেশি। গ্রিসে ওই অপহরণকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেশীয় চক্রের সদস্যরা জড়িত। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ও মা ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর অপহরণকারীদের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেন। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর ভুক্তভোগীর মা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করে।
পরে বিষয়টি অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইডি সদরদপ্তরে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রেরণ করে।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম শাখা অভিযুক্ত ব্যাংক হিসাবটির হিসাব বিবরণী নিয়ে অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানকালে অভিযুক্ত ব্যাংক হিসাবে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণের সত্যতাসহ হিসাবটিতে বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচারের ২৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্যসহ একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়।
এরপর অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি সাইফুর আকন ওরফে নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে মামলাটি তদন্ত শেষে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।