যত্রতত্র ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক: ডেপুটি স্পিকার

ধূমপান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, যত্রতত্র ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিতাষ্ঠান, হাসপাতালের সন্নিকটে মাদক ও তামাকজাতদ্রব্য বিক্রয়কেন্দ্র নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত নবনির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার ও ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা প্রদান এবং ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকের প্রভাব থেকে বাঁচতে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো দ্রুত পাস করা জরুরি।

তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমি নিজেও তামাকবিরোধী নানা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছি।

তিনি বলেন, ফোরামের সংসদ সদস্যরা বিদ্যমান তামাক আইনের যেসব সংশোধনী প্রস্তাবনা করেছেন, তাতে আমি একমত। বিশেষ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা খুবই জরুরি। তামাক ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সুস্থ্য মানবসম্পদ গড়ে তোলা অতি জরুরি। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে, পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় তিনি যুবসমাজকে ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। ধূমপান ও মাদকের ভয়াবহতা জনসমাজে তুলে ধরতে সচেতন মহলের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, বাংলাদেশের অসুস্থতাজনিত মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ-ব্যাধি। যার অন্যতম কারণ তামাক। পার্লামেন্টারি ফোরামের মাধ্যমে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরমা দত্ত, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, শবনম জাহান, সৈয়দা রওশন আরা মান্নান, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ, শিরীন আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও স্বাস্থ্যসুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, সিটিএফকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।