দু-তিন দিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবো: আইনমন্ত্রী

সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) ঘোষণা করায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, দু-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবো।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার।

গত ২ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করে সরকার। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ধারা ১৫ অনুসারে সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হলো।

সিআইআই নিয়ে টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্বেগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমি যেটা বলবো সেটা হচ্ছে যে, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। আমার মনে হয়, কিছুদিনের মধ্যে আপনাদের কাছে সিআইআই এটার সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবো। দু-তিন দিনের মধ্যে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, আমি এটা অস্বীকার করি না যে একটা সময়ে মিসইউজ ও অ্যাবিউজ দেখতে পেরেছি। যখন মিসইউজ ও অ্যাবিউজের কথা উঠে এসেছে তখন আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি। সে ব্যাপারে আমরা গবেষণা ও আলাপ-আলোচনা করছি। যেটা চলমান।

তিনি বলেন, আপনারা কিছু উন্নতি দেখেছেন সেটা হচ্ছে এখন ডিজিটাল সিকিউরিটি মামলা হলে কাউকে অ্যারেস্ট করা হয় না। মামলা দিলেই যে গ্রহণ হয় সেটা এখন হয় না। এটা চলমান পদক্ষেপরই প্রতিফলন। তাই বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড, সেতু বিভাগ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জাতীয় ডেটা সেন্টার (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়), সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।