মানুষ যেভাবে জনসমাবেশে অংশ নিচ্ছে এটা অভ্যুত্থানের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, সমাবেশের আগে সবকিছু বন্ধ, তারপরও মানুষ যাচ্ছে। খেয়াল করবেন এরা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষ আছেন, যারা মনে করেন জিনিসের দাম কমা দরকার।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
আলোচনা সভায় মান্না বলেন, মানুষ এখন ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে সাধারণ মানুষের এমন অবস্থা যে এখন যাকে পায় তাকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে, কারণ তাদের তো বাঁচতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষকে সংবিধান বুঝিয়ে আন্দোলনে আনা কষ্টকর। মানুষকে দ্রব্যমূল্য বেশির কথা বলে আনতে পারবেন। কিন্তু তাদের অধিকার আদায় হচ্ছে না। সংবিধান বদলানো দরকার তারা সেটা বুঝবে না। অনেকে জানেই না যে সংবিধান দেশ চালায়। তাই তাদের এইভাবে আন্দোলনে আনতে পারবেন না।
সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন জানিয়ে মান্না বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে জেনে বুঝে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ লোকই সংবিধানের ধারা সম্পর্কে জানে না। সংবিধানের ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। ৭ ধারা থাকলে মানুষের অধিকার থাকবে না। সুতরাং মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে এই সংবিধান পরিবর্তন করা দরকার।
গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র মোর্চার যে বইগুলো আছে সেগুলো নিশ্চয় পড়ে দেখেছেন। যেগুলো যেগুলো বলেছি তার ভিত্তিতে থাকতে চাই, লড়াইটা করতে চাই, লাগাতারভাবে এই কথাগুলো বলতে চাই। সেই কারণে বলবো জনগণের ভাষায় কথা বলতে হবে। আমরা যারা এই জোট গঠন করেছি এই জোট সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যেন সবচাইতে ভালো আগ্রহ জন্মে। মানুষ মনে করবে মুক্তি এরাই (গণতন্ত্র মঞ্চ) দিতে পারে। ওরা (অনান্য রাজনৈতিক দল) যতই বড় দল হোক, যতই বড় বড় কথা বলুক ওদের দিয়ে হবে না। হলে এদের দিয়েই হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।