লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিছিলটি সদর হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে শহরের উত্তর তেমুহনি বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
নিহতের নাম মো. আলাউদ্দিন পাটওয়ারী (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার দিঘিরপাড়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ভুলু চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, রাকিব হোসেন লোটাস, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রকি, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউছুফ পাটওয়ারীসহ অনেকে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, আলাউদ্দিন আমার ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া ঢাকা থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছে। এ্যানি চৌধুরী বিভিন্ন সভায় হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছের। তারাই পরিকল্পিতভাবে আলাউদ্দিনকে হত্যা করেছে। আমরা দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ঘটনার সময় আলাউদ্দিন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে পাশের একটি পুকুরে দেখতে পায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে পোদ্দার বাজারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর রাতেই লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ সদর হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাবো। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।