শিশু-কিশোরদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এটি উদ্বোধন করা হয়।

এটি বাংলাদেশের প্রথম কোনো লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মে শিশুরা খেলতে খেলতে শিখতে পারবে। আবার গাইতে গাইতে জ্ঞান অর্জনও করতে পারবে। নিজের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী দেশের শিশু, কিশোরদের জন্য এ প্ল্যাটফর্মটি উপহার দিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোরের অংশ নেয়। পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংযোগ- এ চারটি বিষয়ে ৬-১৬ বছর বয়সী শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য আলাদা শিক্ষণীয় গল্প ও গেমসের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।

‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ লার্নিং প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটের ফার্স্ট লুক/ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সবার সঙ্গে হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস প্ল্যাটফর্মের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি এ লার্নিং প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারছি। এ শেখার প্রক্রিয়া আনন্দময় হওয়া প্রয়োজন। যাতে খেলতে খেলতে শেখা যায়। ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ শিশু-কিশোরদের জন্য তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম।

তিনি বলেন, এটির মাধ্যমে তারা জানতে পারবে কীভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে, কীভাবে পরিবেশ ও জলবায়ুকে বাঁচাতে হবে। এ বিষয়গুলো সহজভাবে বুঝানোর জন্য আমরা গেম ডিজাইন করেছি। এতে শিশু, কিশোর-কিশোরীরা খেলতে খেলতে শিখতে পারবে। গাইতে গাইতে জ্ঞান অর্জন করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের একটি ভিশন আমাদের দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য দরকার স্মার্ট সিটিজেন। আজকের শিশুরাই স্মার্ট সিটিজেন হয়ে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এ কারণে আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে শেখ হাসিনার এ উপহার আজকে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরীদের কাছে উন্মুক্ত করছি।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।

হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের থিম সং ও অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। সহজ একটি টিউটোরিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা শিখিয়েও দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের জন্য পাপেট শো, ম্যাজিক শো, প্ল্যাঙ্কো বোর্ডের মতো কিছু গেমের ব্যবস্থা ছিল।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটা ও শিশু-কিশোরদের মাঝে আকর্ষণীয় গিফট ও খাবার বিতরণ করা হয়। ‘খেলি শিখি প্রতিদিন’ এ স্লোগানে আগামী প্রজন্ম খেলতে খেলতে শিখে যাক সবকিছু এ কামনায় শেষ হয় এ অনুষ্ঠান।