এক সপ্তাহ আগে নেপাল থেকে নারী ফুটবল দলের দেশে ফেরার সময় অভূতপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ঢাকার রাজপথে। সাবিনা-কৃষ্ণাদের বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে আনা হয়েছিল ছাদখোলা বাসে করে।
রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিল নারী ফুটবল দলকে। কারণ, তারা দেশে ফিরেছিল নেপাল থেকে ইতিহাস তৈরি করে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে।
৭ দিন পর পুরুষ ফুটবল দলও ঘরে ফিরেছে নেপাল থেকে। বুধবার বেলা দুইটার দিকে জামাল ভূঁইয়াদের সেই ফেরাটা নীরবে। তাদের দেশে আগমন নিয়ে ছিল না কোনো আলোচনা। কারণ, মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হেরেছে নেপালের কাছে।
কাঠমান্ডুর যে স্টেডিয়ামে ইতিহাস তৈরি করে মাঠে ছেড়েছিল সাবিনা খাতুনরা, সেই দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম থেকেই মাথা নিচু করে হোটেলে ফিরেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। এই ম্যাচের দিকে মানুষের দৃষ্টি ছিল। কারণ, মেয়েরা জিতেছে, ছেলেরা কী করে তা দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই। কিন্তু সমর্থকদের আশা পূরণ হয়নি। মেয়েদের জেতা মাঠে হেরে গেছে ছেলেরা।
দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। একটি কম্বোডিয়ায়, অন্যটি নেপালে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ১-০ গোলে জিতলেও যে ম্যাচটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল বেশি, সেই ম্যাচেই হেরে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
মঙ্গলবার দশরথে স্বাগতিকদের সঙ্গে সব দিকে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে নেপাল প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল দিয়ে বাংলাদেশ হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
জাতীয় দলের এই দেশে ফেরার সঙ্গী হননি ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান কাজী। তিনি কাঠমান্ডু থেকেই রওয়ানা হয়েছেন ফিনল্যান্ডের থেকে।